ভক্তি শিক্ষা করি প্রভু তোমার কৃপায়।।
বাল্যকালে দিবাকরে করিলে ভক্ষণ।
তাহে অন্ধকার হইলো এই ত্রিভুবন।।
ত্রাসেতে ত্রিলোক কাঁপে থর থরে।
কেন বা এমন হইলো সবে চিন্তা করে।।
দেবগন আসি তোমা মিনতি করিলে।
রবি চারি জগতের কষ্ট নিবারিলে।।
কেহ জনিত না কপি নামটি তোমার।
সঙ্কট মোচন নাম হয় যে তোমার।। ১।।
কলির ত্রাস যে তুমি গিরি বাসকারী।
জন্মবিধি প্রভু তোমা সন্ন্যাসী নেহারি।।
সহসা মহামুনি তোমা শাপ দিলে।
কি জানি কি বিচার তুমি করেছিলে।।
পরম দয়াল তুমি জানে সর্বজন।
এ দাসের দুঃখ তুমি কর নিবারণ।। ২।।
অঙ্গদেরে সঙ্গে লয়ে সীতা অন্বেষণে।
সন্ধান করিলে তুমি ফিরি বনে বনে।।
পাহাড় পর্বতে তুমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া।
মহাসাগরের তীরে রহিলে বসিয়া।।
বানরগণেরে তুমি দিলে আশ্বাসন।
কৃপা করি কর মোর সঙ্কট মোচন।। ৩।।
জয় রাম বলে তুমি এক লম্ফ দিলে।
আকাশ পথেতে তুমি লঙ্কায় চলিলে।।
শেষে লঙ্কা রাজ্যে গিয়া দিলে দর্শন।
করিতে লাগিলে তুমি সীতা অন্বেষণ।।
অশোক কাননে সীতা পাইলে দেখিতে।
আমারে রক্ষহ তুমি এই সঙ্কটেতে।। ৪।।
রামের অঙ্গুরী দিয়া জানকীর করে।
প্রণাম করিয়া দাঁড়াইলে এক ধরে।।
চেড়ীগণ মুখে রাবন পাইলো শুনিতে।
দূতগণে পাঠাইলো বাঁধিয়া আনিতে।।
সূক্ষ্ম দেহে মহাবীর তুমি দিলে ধরা।
আমার সঙ্কট প্রভু দূর কর ত্বরা।। ৫।।
অতঃপর বিরাট রূপ করিলে ধারণ।
যত বস্ত্র ছিল ল্যাজে বাঁধে দূতগণ।।
তাহে অগ্নি জ্বালাইলো রাবন আদেশে।
তুমি জয় রাম বলি উঠিলে আকাশে।।
সে আগুনে সারা লঙ্কা করিলে দহন।
এ দাসের কর প্রভু সঙ্কট মোচন।। ৬।।
অশোক কাননে তুমি এলে পুনরায়।
লঙ্কা দগ্ধ এ সংবাদ জানালে সীতায়।।
শুনিয়া জনকসুতা আনন্দিত হইল।
বর দিয়া তোমার অগ্নি জ্বালা নিবারিল।।
আম্রকুঞ্জে ঢুকি সব করিল খান খান।
মোরে তুমি এ সঙ্কটে কর পরিত্রান।। ৭।।
সীতার সন্ধান লয়ে ফিরিয়া আসিলে।
শ্রীরামের শ্রীচরণে সকলি জানালে।।
অতঃপর করা হলো সাগর বন্ধন।
লঙ্কাপুরী প্রবেশিলে লয়ে সৈন্যগণ।।
মৃত সঞ্জবনী আনি লক্ষ্মনে বাঁচাও।
কৃপা করি এ দাসের সঙ্কট ঘুচাও।। ৮।।
জয় জয় মহাবীর হনুমান জয়।
ভক্তিরূপ শিক্ষা দিলে জগতে সবায়।।
জয় জয় বজরঙ্গী চির ধন্য তুমি।
তোমার চরণে সদা প্রণত যে আমি।।
তুমি হও শ্রেষ্ঠ ভক্ত বিশ্ব চরাচরে।
রামরূপ দেখাইলে হৃদয় মাঝারে।।
নিজ বক্ষ নিজে তুমি করো বিদারণ।
তার মাঝে রামরূপ করলে দর্শন।।
হনুমানাষ্টক হেথা সমাপ্ত হইলো।
জয় র্যাম জয় হনুমান ভক্তগণ বলো।।
0 মন্তব্যসমূহ