মহাযোগী লোকনাথবাবার পাঁচালী

 

ত্রিকালজ্ঞ মহাযোগী লোকনাথের জয়।পাপী তাপী উদ্ধারিতে হলেন উদয়।।আবির্ভুত হন বাবা কচুয়া গ্রামেতে।জনমিল লোকনাথ ঘোষাল গৃহেতে।।পিতা রামকানাই ঘোষাল কমলা দেবী মাতা।ধর্মপরায়ণা তিনি সতী পতিব্রতা।।একাদশবর্ষ  যবে লোকনাথ হলো।ভগবান গাঙ্গুলী তাঁরে সন্ন্যাস দীক্ষা দিল।।গৃহত্যাগ করি আর ত্যজি পরিজন।গুরু সঙ্গে কালীঘাট করে আগমন।।বেণীমাধব বাল্যসাথী সঙ্গেতেই ছিল।শিষ্যদ্বয়ে গুরু নানা যোগ শিখাইলো।।তারপর আসে তারা হিমাদ্রি শিখরে।দীর্ঘদিন সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে।।তারপর গুরু সঙ্গে শিষ্য দুইজন।পৃথিবীর নানা দেশ করেন ভ্রমণ।।বিভিন্ন ধর্মের তত্ত্ব জানিবার তরে।উপস্থিত হন মক্কামদিনা নগরে।।কাবুলে আসিয়া মোল্লা সাদির ভবনে।কোরান শরীফ পাঠ করেন যতনে।।বিশ্ব পরিক্রমা শেষে বেণীমাধব সঙ্গেতে।উপস্থিত হন চন্দ্রনাথ পাহাড়েতে ।।দাবানল জলে ওঠে বনের ভিতরে।অগ্নি থেকে রক্ষা করেন বিজয় গোস্বামীরে।।বেণীমাধব চলে যান কামাখ্যা ধামেতে।বাবা নেমে আসলেন বারদী গ্রামেতে।।বাবাকে প্রথমে কেহ চিনতে না পারে।পাগল বলিয়া সবে উপহাস করে।।একদিন দুই ব্রহ্মানের পৈতা জড়াইলো।গায়ত্রী করিয়া বাবা তাহা খুলে দিলো।।চারিদিকে এইকথা প্রচার হইলো।দলে দলে ভক্তবৃন্দ আসিতে লাগিল।।অতঃপর আশ্রম হইলো বারদীতে।বহুভক্ত শিষ্য সেথা লাগিল আসিতে।।পাপী-তাপী, রোগী কত আসিল তথায়।সবার কষ্ট বাবা করেন নিরাময়।।শিষ্য আর ভক্তের বাবা বলেন একথা।আমাকে ঠাকুর রূপে পূজা করা বৃথা।।শ্রদ্ধাভক্তি নিয়ে যেবা আমারে ডাকিবে।অবশ্যই সেই ভক্ত মোর সাড়া পাবে।।আমি নেই এই কথা করোনা মনেতে।ছিলাম, আছি, থাকবো সদা তোদের মাঝেতে।।জলে স্থলে যখনি বিপদে পড়িবে।তখনই আমার কথা স্মরণ করিবে।।এইরূপে লোকনাথ কত লীলা করে।কার সাধ্য সেইসব বর্নিবারে পারে।।১৬০ বৎসর বাবার বয়স হইলো।মর্ত্যধাম ত্যাজিতে বাবার ইচ্ছা হলো।।১২৯৭ সাল ১৯ শে জৈষ্ঠেতে।দেহ ত্যাজি যান বাবা অমরলোকেতে।।যার ঘরে বাবার চিত্র রাখিবে যতনে।অন্নকষ্ট থাকিবেনা তাহার ভুবনে।।রোগ শোক দুঃখ কষ্ট শব্দরে যাবে।পুত্র পৌত্র সহ সবে আনন্দে থাকিবে।।বাবার পাঁচালি জেবা পরে কিংবা শুনে।পুণ্যবান সেইজন সোডা রেখো মনে।।কোনো মন্ত্র কোনো দীক্ষা নাই তাঁর নামে।তাঁর নামই মহামন্ত্র এই মর্ত্যধামে।।জোট বেশি তার নাম উচ্চারিত হবে।মানব কল্যাণ তত অধিক হইবে।।


        ------: অথ মহাযোগী লোকনাথবাবার পাঁচালী সমাপ্ত :----- 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ