"
অতীতের নন্দীপুরী আজকের সাঁইথিয়া আর সাঁইথিয়া স্টেশনের একেবারে পাশে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম এই নন্দীকেশ্বরী মন্দির।সতীর কণ্ঠহার পড়েছিল এখানে।দেবী এখানে নন্দিনী এবং ভৈরব অর্থাৎ মহাদেব নন্দীকেশ্বর নামে পূজিত।
পঞ্জিকাতে বর্ণিত সতীপীঠের ৪৫ নম্বরে রয়েছে নন্দীকেশ্বরী।দেবী এখানে নন্দিনী।বীরভূমের ইতিহাস গবেষকদের মতে, সাঁইথিয়ার আদি নাম ছিল নন্দীপুর।সেই নাম অনুসারে দেবী হলেন নন্দীকেশ্বরী।পীত নির্ণয় তন্ত্র অনুযায়ী এই শাক্তপীঠে দেবীর কণ্ঠহার পতিত হয়েছিল।
এই মন্দিরে ভৈরব এবং মা নন্দিনী বা নন্দেশ্বরী একই জায়গায় অবস্থিত।ত্রিকোণাকার শিলারূপের মধ্যে অবস্থান।শুধু ভোগ হওয়ার সময় দুটি আলাদা আলাদা পাত্রে ভোগ হয় ভৈরব এবং মায়ের।
এখানে ভৈরব হলেন নন্দীকেশ্বর।একই শিলাখন্ডে পূজিত হন দেবী নন্দিনী ও তাঁর ভৈরব।শাক্তপীঠ নন্দিকেশ্বর মন্দিরের পরিবেশও দেখার মতো।পাশাপাশি জড়িয়ে থাকা অশ্বত্থ ও বট গাছ।মার্বেল পাথর দিয়ে বাঁধানো বেদী তার উপরে বিশাল শিলামূর্তি।বেদির উপর রাখা সারি সারি শঙ্খ।
সাঁইথিয়ার সতীপীঠে দেখা যায় শাক্ত আর বৈষ্ণব ধর্মের গলাগলি।শক্তিপীঠের পাশেই স্বমহিমায় অধিষ্ঠান করছেন দ্বারুব্রহ্ম জগন্নাথ।শিব মন্দিরের পাশে রয়েছে কালীয়দমন মন্দির।এখানে এলে দেখা যাবে কিভাবে কালীয়নাগ-কে দমন করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেবীর বিভিন্ন রূপ।সাঁইথিয়ার রাঙামাটিতে এইভাবেই কালী-কৃষ্ণ একাকার হয়ে গেছে।
0 মন্তব্যসমূহ