পুজোর ফর্দ্দমালা

 পঞ্চশস্য- ধান্য, মাষকলাই, তিল, মূগ ও যব।

পঞ্চরত্ন- স্বর্ণ, হীরক, নীলমণি, পদ্মরাগ ও মুক্তা।মতান্তরে -- স্বর্ণ, রৌপ্য, প্রবাল, মুক্তা ও মণি।

নবরত্ন- মুক্তা, মাণিক্য, বৈদুর্য্যমণি, গোমেদমণি, হীরক, বিক্রমমণি, পদ্মরাগমণি, মরকত ও নীলমণি।

পঞ্চপল্লব- বৈদিক এবং পৌরাণিক পুজোয়-- আম্র, পাকুড়, বট, অশ্বত্থ ও যজ্ঞডুমুর।

                তান্ত্রিক পূজায়-- কাঁঠাল, আম্র, অশ্বত্থ, বট ও বকুল।

পঞ্চকষায়- জাম, শিমুল, বেড়েলা, কুল ও বকুল।ইঁহাদিগের ছাল সমান মাত্রায় লইয়া ছেঁচিয়া একত্রে ভিজাইয়া রাখিলে                     সেই জলকে পঞ্চকষায় বলে।

পঞ্চগুঁড়ি- হরিদ্রচূর্ণ দ্বারা পীত, তণ্ডুলচূর্ণ দ্বারা শ্বেত, কুসুম অর্থাৎ জবাফুল চূর্ণ দ্বারা রক্ত, শস্যহীন ধান্য দগ্ধ করিয়া                         তদ্দ্বারা কৃষ্ণ এবং বিল্বপত্র চূর্ণ করিয়া সবুজ গুঁড়ি প্রস্তুত করিতে হয়।

পঞ্চগব্য- গোমূত্র, গোময়, গব্য-দুগ্ধ, গব্য-দধি ও গব্য-ঘৃত।মন্ত্র পড়িয়া কুশের জল দেওয়া হয়।

পঞ্চামৃত- দধি, দুগ্ধ, ঘৃত, মধু ও চিনি।

সর্ব্বৌষধি- মুরামাংসী, জটামাংসী, বচ, কুড়, শৈলজা, হরিদ্রা, দারুহরিদ্রা, শঠী, চম্পক ও মুথা।

মহৌষধি- পীতবেড়ালা, কন্টিকারী, শ্বেতবেড়ালা, পেটারি ডানকুনী, বসাক, সুনটে, হড়হড়ে।

        দ্বিতীয় প্রকার-- চাকুলে, শ্যামলতা (দোড়েলটা), ভৃঙ্গরাজ, শতমূলী, গুলঞ্চ, পীতবেড়ালা।

ব্রতপ্রতিষ্ঠার দ্রব্য- গুরুবরণ, ব্রহ্মা, সদস্য, হোতৃ ও আচার্য্যবরণ বস্ত্র ৫ জোড় বরণাঙ্গুরীয়ক ৫, বরণের আসন ৫                                     (অশক্তপক্ষে ৩টা) যজ্ঞপবীত  ১০, তিল, হরিতকী, পুষ্প, দুর্ব্বা, তুলসী, বিল্বপত্র, ধুপ, দীপ, ধুনা, দধি, মধু, ঘৃত, চিনি, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চগব্য, পঞ্চশস্য, পঞ্চরত্ন,পঞ্চপল্লব, আম্রশাখা, সশীষ ডাব ৬, করণীয় ব্রতের বস্ত্র ধুতি ১, শাটী ১, সিঁদুর, ঘট ৫ (পিতলের ঘড়া বা ঘটি), ঘটাচ্ছাদন গামছা ৫, শান্তিকুম্ভ, শান্তিকুম্ভের শাটী ১, আসনাঙ্গুরীয়ক ৫, মধুপর্কবাটী ৫, নারায়ণ পূজার ধুতি ১, লক্ষ্মীর শাটী ১, নবগ্রহ পূজার ধুতি ১, বড়ো নৈবেদ্য ৫, কুচা নৈবেদ্য ১, পুস্পমালা, তাম্রঘটি, তাম্রটাট ১, স্বর্ণ-লক্ষ্মী প্রতিমা, রৌপ্য-বিষ্ণুমূর্ত্তি, বালি, কাষ্ঠ, খোড়কে, গোময়, হোমের গব্যঘৃত, আজ্যস্থালী (তাম্রকুন্ড বা গামলা), চরুস্থালী (বগুনা), উদুখল, মুষল, কুলা ১, ধুনুচি ১, উড়ুম্বর-সমিধ ১০৮, তিল, অশ্বত্থপত্র ২০, দুগ্ধ, উষ্ণব গামছা ১, চন্দ্রাতপ ঐ ধুতি ১, পূর্ণপাত্র ১, ভোজ্য ১৩, ডালা ৪ খানা, ডলার বস্ত্র বা গামছা ৩, লক্ষ্মীর ডলার শাটী ১, প্রতি ভোজ্যে গামছা পাখা কলস দেওয়ার বিধি আছে।প্রত্যেক ব্রতীর দক্ষিণা , প্রতিষ্ঠার দক্ষিণা, করণীয় ব্রতের দক্ষিণা, দানের দক্ষিণা, যজমানের পরিধেয় নতুন বস্ত্র, ব্রাহ্মণ ভোজন।ষোড়শ বা দ্বাদশ দান।

দ্বাদশ দানের দ্রব্য- ভূমি, আসন, জল, অন্ন, বস্ত্র, তাম্বুল, ফল, গন্ধ,(চন্দন কাষ্ঠ), ছত্র, পাদুকা, শয্যা, (দ্বাদশ দানে                                        শয্যাস্থলে কেহ কেহ স্বর্ণদানের ব্যবস্থা করেন), গো বা তন্মূল্য আট বা বারো আনা।

ষোড়শদান- ভূমি, আসন, জল, অন্ন (স্বভোজ্য থালা), বস্ত্র, দীপ, তাম্বুল, ফল, গন্ধ, মালা, ছত্র, পাদুকা, শয্যা,  গো বা                         তাহার মূল্য কাঞ্চন ও রজত।

মহাদান- সুবর্ণ, ঘোড়া, তিল, গো, রথ, ভূমি, গৃহ, কপিলা, ধেনু, হস্তী, নৌকা, পালকী।

দানসাগর- স্বর্ণনির্মিত দম্পতি প্রতিমা, গরদের ধুতি ও চাদর, গরদের শাটী, সসাজ খাট, স্বর্ণের অঙ্গুরী, অলংকার                             যথাশক্তি, দান সামগ্রী ও ১৬টি ষোড়শ দান। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ