টাঙ্গিনাথ_মন্দির ঝাড়খণ্ড

ভারতের মন্দিরে মন্দিরে

বর্তমান রাঁচি থেকে প্রায় 150 কিমি দূরে দুমরি জেলার মাজগাঁও গ্রামে অবস্থিত এই মন্দির। 

নকশাল মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার মধ্যে পড়ায় এখনও খুবই অবহেলিত।

তবে দিনদিন বাড়ছে লোকজন বাড়ছে ভক্ত সমাগম।


ভেতরে অসংখ্য প্রাচীন পাথরের ভেঙে পড়া কাজে ভর্তি। কোথাও ভেঙে পড়া চূড়া কোথাও জানলা কোথাও মূর্তি রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

পড়ে রয়েছে অজস্র শিবলিঙ্গ। ছোট বড় মাঝারি বিভিন্ন আকৃতির বিভিন্ন গঠনের।

মোটকথা সবে মিলে এক প্রাচীন বর্ধিষ্ণু মন্দিরের ধ্বংসস্তূপে পড়ে থাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে এক এলোমেলো মন্দির...


তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল একটি টাঙ্গি। 

মাটিতে পোঁতা রয়েছে বিশাল এক টাঙ্গি। 

একদিকটা উঠে রয়েছে মাটির এদিকে, অন্যদিকে রয়েছে একটি ত্রিশূল আর সাথে কিছু একটা অদ্ভুত গঠনের...

ত্রিশূল আর টাঙ্গির দিকটা চেনা গেলেও সেই অদ্ভুত গঠনের জিনিসটা আজও অজানা

জনশ্রুতি অনুসারে

21 বার ক্ষত্রিয় নিধনের পরেও তার হাত থেকে কুঠার আর নেমে আসছিল না। শেষে মহাদেবের শরনে যান পরশুরাম। 

মহাদেব প্রীত হলে পরে নর্মদা কুণ্ডে (অন্যমতে অরুনাচলের একটি কুণ্ডে) হাত ধুলে পরে কুঠার তার হাত ছেড়ে দেয়। 

অভিশাপ মুক্ত হয়ে এই স্থানে এসে পুনরায় সাধনা করেন পরশুরাম। এরপরে মহাদেব নির্দেশ দেন তার কুঠারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আপাতত এই কুঠার এখানেই থাকুক। 

পরশুরাম তার হাতের কুঠার এখানের মাটিতে সজোরে পুঁতে দেন। তারপর থেকে কুঠার রয়েছে এখানেই প্রোথিত।

তবে কলি যুগের শেষে আসবেন কল্কি অবতার। কল্কি অবতারকে ট্রেনিং দেবেন স্বয়ম পরশুরাম। তখন তিনি তার অস্ত্র আবার তুলে ধরবেন। 

আপাতত তিনি মহেন্দ্রগিরি পর্বতে রয়েছেন ধ্যানমগ্ন। 

কুঠার অর্থাৎ টাঙ্গি(স্থানীয় জনগণের ভাষায়) 

এখানে রয়েছে সেই কুঠার পোঁতা, তাই নাম টাঙ্গিনাথ। উঁচু হয়ে রয়েছে ত্রিশূলের দিকটি। তাই শিব মন্দির হিসেবেই পরিচিত পেয়েছে মন্দিরটি। 

পরশুরাম নিজে বিষ্ণু অবতার হয়েও ছিলেন পরম শিবভক্ত। 

তাই বিষ্ণু আর শিব কোথাও যেন মিলে যান একসাথে। 

বিবিধের মাঝে মিলন মহান।।।

ভারতীয় সনাতন ধর্মের এই এক মৌলিক বৈশিষ্ট্য...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ